মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ধরপাকড়ের মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত আমরা নিজের দেশেই অদৃশ্য : ভারতের মুসলিমরা শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সংকল্পবদ্ধ যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৪ আজকের রাশিফল ৩০ এপ্রিল মার্কিন পতাকা নামিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উড়লো ফিলিস্তিনি পতাকা! বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের বিষয়টি আদালতেই সুরাহার চেষ্টা করব, হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে সৌদিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেকের নাম বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার মুখে

অনেকের নাম বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার মুখে

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের করা অর্থপাচার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ফরিদপুরের নেতাদের দুর্বৃত্তায়নের অনেক বিস্ময়কর তথ্য বেরিয়ে আসছে। ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক রাঘববোয়ালের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ দুই সহোদর তাদের পৃষ্ঠপোষক এবং সহযোগীদের বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে সর্বশেষ গত শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদপুুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে। গত শনিবার সিআইডি তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তিনি এরই মধ্যে ফরিদপুরের রাজনীতিতে ‘দুর্বৃত্তায়নের রাজত্ব’ কায়েমের নেপথ্য হোতাদের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তার দেওয়া তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা শামীমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস আমাদের সময়কে বলেন, বরকত ও রুবেল দুই ভাই যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন, তাদের নাম বলেছেন- যার মধ্যে শামীমও আছেন। এ কারণে শামীমকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তদন্তের সূত্র ধরে সিআইডি জানায়, দুই ভাই বরকত-রুবেল এবং তাদের সহযোগীরা ফরিদপুরের সব সরকারি অফিস নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাদের বাইরে কেউ ঠিকাদারি কাজের দরপত্রে অংশগ্রহণও করতে পারতেন না। সব সরকারি প্রকল্পের কাজে তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বখরা দিতে হতো। পাশাপাশি জমি দখল ও চাঁদাবাজি করে তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের মালিকানায় হাজার বিঘা জমি থাকার প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।

অন্যদিকে ছাত্রলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা শামীম সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের অপকর্মে তিনি প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করতেন। এভাবেই তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া বরকত-রুবেলের পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়েও শামীম অনেক তথ্য দিয়েছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর ওপর হামলা ও চাঁদাবাজির একটি মামলায় শামীমকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। গত ১৬ মে রাতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত যমুনা ভবনে দুই দফা হামলা হয়। এ ঘটনায় সুবল সাহা ১৮ মে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, এ হামলায় বরকত ও রুবেলের বাইরে শামীমও জড়িত। এসব ঘটনায় মামলার পাশাপাশি পৃথক তদন্তে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের প্রমাণ পেয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় দুই ভাই বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন অর্থপাচার আইনে মামলা করে সিআইডি।

সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা এবং অর্থপাচারের মামলায় এ পর্যন্ত ফরিদপুর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান প্রমুখও রয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877